বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে দুই জনকে ফেনী জেলা জজ আদালতে তুলে প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার (১০ এপ্রিল) পপি ও যোবায়েরকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত পরদিন (বৃহস্পতিবার) শুনানির দিন ধার্য করে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাকে সাত দিনের এবং ওই মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন ও শাহিদুল ইসলামকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে পাঠান আদালত।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
এই ছাত্রীর পরিবারের ভাষ্যে, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তারই জেরে মামলা করায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। ওই মামলার পর সিরাজ উদ-দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
অপরদিকে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার চিকিৎসায় গঠিত হয় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সবার প্রার্থনা-চেষ্টাকে বিফল করে বুধবার রাতে মারা যায় ‘প্রতিবাদী’ নুসরাত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এসএইচডি/এইচএ/
** নুসরাতের আসনটি ফাঁকা, মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনেরা
** অপরাধের সঠিক বিচার হচ্ছে না বলেই এমন নৃশংসতা