বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশপথেই লাগানো হয়েছে ডিজিটাল সাইনবোর্ড। যাতে রংধনু বর্ণে লেখা ভাসছে 'স্বাগতম বাংলাদেশ রেলওয় রাজশাহী'।
রেলওয়ের প্ল্যাটফর্মের পিলারগুলোতে থাকা ভাঙা ও পুরনো সাদা টাইলসগুলো তুলে নতুন করে ঝকঝকে টাইলস বসানো হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মের ওপরে রেলযাত্রীদের সুবিধার্থে ক-খ ও গ-ঘ এমন ১২টি অধ্যক্ষরের বগি চিহ্নিত করতে নতুন সাইনেজ লাগানো হয়েছে। আর স্টেশনজুড়েই চলছে ধোয়া-মোছা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।
প্রশ্ন ছিল, বাংলা নববর্ষ অর্থাৎ, পহেলা বৈশাখ বা রাজশাহী-ঢাকা রুটের বিরতিহীন ট্রেন 'বনলতা এক্সপ্রেস'র উদ্বোধনের জন্য এ সাজ-সজ্জা কিনা। যার উত্তরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিন্টেনডেন্ট আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, না, এগুলো তো রয়েইছে। তবে বিশেষত রেলমন্ত্রীর সম্ভাব্য সফর কেন্দ্র করে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনকে সুন্দর, মনোরম ও পরিপাটি করার কাজ চলছে। প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল সাইন লাগানো হয়েছে। শিগগিরই প্ল্যাটফর্মেও ডিজিটাল সাইনেজ বসানো হবে। তবে আপাতত বগি চিহ্নিত করতে বাংলা অধ্যক্ষরের সাইনেজ লাগানো হয়েছে।
জানতে চাইলে সুপারিন্টেনডেন্ট আমজাদ হোসেন বলেন, গত ৫ মার্চ রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আকস্মিকভাবে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে যান। সব ঘুরে দেখে স্টেশনের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম দূরের পাশাপাশি যাত্রীসেবা নিশ্চিত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এক মাসের আল্টিমেটাম দেন। ঠিক এর এক মাস পর চলতি মাসে আবারও রেলপথমন্ত্রী কমলাপুরে যান।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে এবার সন্তোষ প্রকাশ করেন। এরই অংশ হিসেবে আগামী শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে সম্ভাব্য পরিদর্শন আসার কথা রয়েছে রেলপথমন্ত্রীর। তাই সব মিলিয়ে মন্ত্রীর পরিদর্শন সামনে রেখেই নতুন করে সাজানো হচ্ছে রাজশাহী স্টেশন।
যদিও অন্যান্য স্টেশনের চেয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের পরিবেশ অনেক উন্নত, পরিচ্ছন্ন এবং আধুনিক বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এসএস/এএ