ঢাকা, শনিবার, ১১ মাঘ ১৪৩১, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নারী নির্যাতনকে সামাজিক দুর্যোগ ঘোষণার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
নারী নির্যাতনকে সামাজিক দুর্যোগ ঘোষণার দাবি মানববন্ধন, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশে বেড়েই চলেছে নারী নির্যাতন। এসব ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এখনও করা হয়নি। যা জনগণের জন্য উদাহরণ হিসেবে থাকবে। নারী নির্যাতন বন্ধ করতে সামাজিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। মাদক, সন্ত্রাসের মতো এটা বন্ধ করতে জিরো টলারেন্স নীতি করা হলে নারী নির্যাতন বন্ধ হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ (ঢাকা মহানগর) আয়োজিত যৌন নিপীড়ন ও নারীর প্রতি সহিংসতা এবং নুসরাত হত্যার বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান বক্তারা।

মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নুসরাত বাঁচতে চেয়েছিলো।

কিন্তু আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি। নিজ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার ওপর অমানুষিক যৌন নির্যাতনের পর হত্যা করা হলো। অথচ সেই অপরাধের প্রতিবাদ না করে অপরাধীরপক্ষে স্থানীয় মেয়র, কাউন্সিলরসহ রাজনৈতিক নেতারা রাস্তায় নেমে, মিছিল করলো। এ অপরাধে জড়িত সবাইকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।

তিনি বলেন, এ ঘটনার তদন্ত কোনদিকে যাবে আগেই অনুমান করা যায়। কারণ তনুর ঘটনায় তিনবার তদন্ত করা হয়েছি, সূর্বণচরের ঘটনাও দেখেছি। তদন্তের মাধ্যমে এসব ঘটনা আমাদের নারীর ক্ষমতায়ন, দেশের ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্ত করে। তাই শুধু ধর্ষক না তাদের সহযোগিতাকারীকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সংগঠনটির মহানগর সভাপতি মাহাতাবুন নেসা বলেন, আমাদের সমাজে মানুষ বসবাস করে এখানে কোনো নরপশু থাকতে পারবে না। সত্যিকারের তদন্তের মাধ্যমে সব অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং কঠিন বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যেসব অপরাধী অপরাধ করেছেন তাদেরকে সঠিকভাবে বিচার করা হয়নি। এটা না হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে নারী নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনা। এসব নির্যাতন বন্ধ করতে হলে এটাকে সামাজিক দুর্যোগ ঘোষণা করতে হবে। সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাসের মতোই এটাকে নির্মূল করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনুস, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত আন্দোলন সম্পাদক রেখা চৌধুরী, ঢাকা মহানগর প্রশিক্ষণ সম্পাদক হোমায়রা খাতুন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।