গত শনিবার (৬ এপ্রিল) নুসরাত দগ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দাফন পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে থেকে চিকিৎসা ব্যবস্থা, মরদেহের ময়না-তদন্তসহ সব কাজের তদারকি করেন তিনি।
গত ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা।
ঢাকায় আনার পরপরই নুসরাতকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শে তিনি সেখানে অবস্থান করে নুসরাতের চিকিৎসা ব্যবস্থার তদারকি এবং পরিবারকে ন্যায়বিচার পাবে বলে আশ্বস্ত করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সোনাগাজী উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন।
বুধবার (১০) এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তাররা যখন নুসরাতকে মৃত ঘোষণা করেন সেসময়ও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিম। সবশেষ সকালে আলাউদ্দিন নাসিম হাসপাতালে পৌঁছালে নুসরাতের বাবা মাওলানা একেএম মুসা তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আলাউদ্দিন নাসিম তাকে সান্ত্বনা দেন এবং বলেন, অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিদের্শ দিয়েছেন। কোনো অপরাধীই পার পাবে না। সর্বোচ্চ শাস্তি হবেই। পরে নিজে উপস্থিত থেকে নুসরাতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা, সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত তদারকি করেন তিনি এবং গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।
সন্ধ্যার দিকে নুসরাত জাহান রাফির জানাজায় অংশ নিতে হাজারো মানুষের ঢল নামে সোনাগাজী মো. সাবের সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলার হাজারো মানুষ এতে অংশ নেন।
এসময় আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, নুসরাতের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নুসরাতের মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। যেসব অপরাধী ধরা পড়েনি, তাদের ধরতে ফেনী জেলা পুলিশ প্রশাসনকে নিদের্শনা দিয়েছেন। নুসরাতের পরিবারের পাশে প্রধানমন্ত্রী আছেন, আওয়ামী লীগ আছে। অপরাধী যে-ই হোক শাস্তি পেতেই হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এইচএ/