বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এস এম সিরাজ উদদৌলা (ইনডেক্স-৩০৪১১১) এবং ইংরেজির প্রভাষক আফসার উদ্দিনের (ইনডেক্স-২০৩০৫০৮) এমপিও স্থগিত করার জন্য এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির মামলা নং-২৪, তারিখ ২৭/০৩/২০১৯ এবং হত্যা মামলা নং-১০, তারিখ ০৮/০৪/২০১৯ সোনাগাজী থানার প্রেক্ষিতে মাদরাসার অধ্যক্ষ এবং ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক গ্রেফতার হওয়ায় তাদের এমপিও স্থগিত হওয়া প্রয়োজন।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, এমতাবস্থায় এ এস এম সিরাজ উদদৌলা এবং ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক আফসার উদ্দিনের এমপিও স্থগিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহোদয়কে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।
গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা। পরিবারের অভিযোগ, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ বিষয়ে করা মামলা প্রত্যাহারের চাপ দিতে নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা চলাকালে ১০ এপ্রিল মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, শ্লীলতাহানির ওই মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এবং নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন ও শাহিদুল ইসলাম এবং অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি এবং অপর আসামী মাদ্রাসা ছাত্র জোবায়ের আহমেদকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
নুসরাতের ঘটনা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের সহিংসতা অবশ্যই চরম নিন্দনীয় অপরাধ এবং এগুলোর ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তার পরদিন এই উদ্যোগ নিল মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, ১২ এপ্রিল, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএমএস