ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রমজানে দ্রব্যমূল্য না বাড়ানোর দাবি খুলনায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
রমজানে দ্রব্যমূল্য না বাড়ানোর দাবি খুলনায়

খুলনা: আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য না বাড়ানো ও যত্রতত্র লাইসেন্সবিহীন দোকানে এলপি গ্যাস বিক্রি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে মহানগরের ডাকবাংলা ফেরিঘাট মোড়ে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনা নাগরিক আন্দোলন, এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরাম খুলনা বিভাগীয় কমিটি এবং খুলনা নাগরিক সমাজের যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনা নাগরিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি শেখ তোবারেক হোসেন তপুর সভাপতিত্বে এবং খুলনা নাগরিক আন্দোলনের মহাসচিব এস এম দেলোয়ার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসীন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার।

অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- খুলনা নাগরিক আন্দোলনের কো-চেয়ারম্যান মাওলানা মুফতি আনোয়ার হুসাইন, এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মোশারফ হোসেন, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকন, আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন রাজু, এলপি গ্যাস মালিক সমিতির মোস্তাফিজুর রহমান, রাকিবুল হাসান, হাফিজুর রহমান, খুলনা নাগরিক আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব ডা. ওহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খুলনায় লাইসেন্স ছাড়া বিভিন্ন দোকানে আইন-কানুন, নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে যত্রতত্র এলপি গ্যাস বিক্রয় হচ্ছে। এলপি গ্যাস একটি দাহ্যপদার্থ হওয়ায় তা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। ন্যূনতম নিয়ম-কানুন না জানা মানুষের মাধ্যমে এ ব্যবসা পরিচালিত হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায় মারাত্মকভাবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বক্তারা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, অবৈধ ব্যবসায়ী, সচেতন নাগরিক ও ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিস্ফোরক লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

তারা আরও বলেন, রমজান মাস এলেই এক শ্রেণীর অসৎ ও অসাধু ব্যবসায়ীরা আইন অমান্য করে অবৈধভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অবৈধ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মুনাফা লাভ করে থাকে। ফলশ্রুতিতে একদিকে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বিনষ্ট হয়, অন্যদিকে সব শ্রেণীর ক্রেতারা চড়া মূল্যে দ্রব্য ক্রয় করতে গিয়ে হিমশিম খায়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক করে।

বক্তারা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহকে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯ 
এমআরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।