শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রামপুরার বনশ্রীর সি ব্লকের ২ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির পাঁচতলা থেকে সুচির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই বাসায় সুচি তার স্বামী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়ায় থাকছিলেন।
রাজশাহী জেলার সাহেব বাজার গ্রামের মৃত শাহ আলম তালুকদারের মেয়ে সুচির সঙ্গে ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল রায়হান মোস্তফার। পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) তাদের বিয়েবার্ষিকী ছিল।
সুচির ভাগ্নে মনজুর মোর্শেদ সজিব বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, তার খালার মৃত্যুর ব্যাপারে পরিবারের সন্দেহ রয়েছে। কারণ একবছর ধরে পূর্ব রামপুরার এক নারীর সঙ্গে তার খালুর পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিল। এই ঘটনা নিয়ে পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে বিষয়টির চূড়ান্ত মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। তবু রায়হান মোস্তফা সেই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন।
সজিব বলেন, দুপুরের দিকে ওই বাসা থেকে খালার শাশুড়ী ফোন দিয়ে বলেন- সুচি খালা রুমে ঢুকেছেন, আর বের হচ্ছেন না, প্রায় দুই ঘণ্টা হয়ে গেছে। তখন আমরা দ্রুত ছুটে যাই সুচি খালার বাসায়, দরজা খুলে দেখতে পাই খালা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে আছেন। তিনটি শিশুসন্তান রেখে তিনি কোনোদিন আত্মহত্যা করতে পারেন না। এ ব্যাপারে রায়হান মোস্তফার হাত আছে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কুদ্দুস ফকির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সুচির স্বামী রায়হান মোস্তফা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, চেষ্টা চলছে বিস্তারিত জানার।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবেও বলে জানান ওসি কুদ্দুস ফকির।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
এজেডএস/এইচএ/