এদিন ধর্ম-বর্ণ, ধনী-গরীব মিলে মিশে একাকার হয়ে বাধভাঙা উচ্ছ্বাস, আনন্দ আর আবেগে মেতে উঠবে সকলে। উৎসবের নগরীতে এদিন আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রে, বাংলার সমৃদ্ধ সঙ্গীতে এক হাজারের বেশি শিল্পীর তাল লয় ছন্দের সুর-মুর্ছণায় সময় পার করবেন সবাই।
বর্ষবরণ উদযাপন পর্ষদসহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এ উৎসব শুরু হবে।
সম্মিলিত মঙ্গল শোভাযাত্রা ছাড়াও বর্ষবরণে যশোরের ঐতিহ্য অনুযায়ী জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের নিজস্ব আঙ্গিকে বৈচিত্র্যময় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলা ও বাঙালীর প্রধান উৎসব ‘বাংলাবর্ষ বরণ’ পহেলা বৈশাখকে আরো জাঁকজমক, বর্ণিল ও আনন্দময় করে তুলবে।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সংগঠনের ৪৩ বছরের ধারাবাহিকতায় সকাল সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠানের সূচনা করবে উদীচী যশোর। ‘দুর হোক সকল অকল্যাণ এসো গাহি মঙ্গলের জয়গান’ সমস্ত অশুভকে দূরে ঠেলে নতুন দিনের প্রত্যাশায় বাংলা নববর্ষের দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে যশোরবাসীকে উৎসবের আনন্দে মাতিয়ে দেবে উৎসবের পথিকৃৎ উদীচী যশোর।
উদীচীর সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষবরণ উৎসবের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি মঞ্চসজ্জা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মনমুগ্ধকর হবে। তিনি বলেন, উদীচীই প্রথম যশোরে মঞ্চ ও আমন্ত্রণ পত্রে নান্দনিক ছোঁয়া এনেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৫ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
ইউজি/এসআইএস