নববর্ষকে ঘিরে শহরের হোটেল-মোটেলসহ বিশেষ বিশেষস্থানগুলোকে নানা রকম আলোকসজ্জা ও রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বৈশাখী সাজে।
তবে এবার নববর্ষকে ঘিরে কক্সবাজারে পর্যটকদের খুব একটা সাড়া নেই।
প্রতিবারের মতো এবারও কক্সবাজারে পয়লা বৈশাখ উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, রামু বাংলা নববর্ষ উদযাপন পরিষদ, রামু চৈত্র সংক্রান্তি ও পাগলের মেলা উদযাপন পরিষদসহ সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বর্ষবরণ উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি শেষ করেছে জেলা প্রশাসন। সকালে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। পরে হিলডাউন সার্কিট হাউসে পান্থা ভাতের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি নতুন বছর সবার জন্য মঙ্গলের বার্তা নিয়ে আসবে।
কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণে আমাদের দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। ১৪ এপ্রিল ভোরে যন্ত্র সংগীতের মাধ্যমে নতুন বর্ষ ১৪২৬ বরণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এছাড়াও দুইদিনের অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নাচ, গান, আবৃত্তি, নৃত্য পরিবেশন করবে।
এদিকে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কক্সবাজার সরকারি কলেজ, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজসহ জেলা উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিকও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেসম সিকাদার বাংলানিউজকে জানান, টানা তিনদিনের ছুটি থাকলেও গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এবার পহেলা বৈশাখকে ঘিরে পর্যটকদের আগ্রহ কম। তাই বেশির ভাগ হোটেল-মোটেলে কক্ষ ফাঁকা পড়ে আছে।
হোটেল কক্স টু ডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসনসহ এখানকার অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে এবার পহেলা বৈশাখকে ঘিরে নানা আয়োজন রেখেছে। হোটেল-মোটেল গুলোতেও আছে নানা প্রস্তুতি কিন্তু এবার পর্যটকদের আশানুরুপ সাড়া নেই।
বর্ষবরণে অনুষ্ঠান যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বর্ষবরণ ঘিরে শহরের বিশেষ বিশেষ স্থানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পোশাকধারী সদস্যর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪,২০১৯
এসবি/আরআইএস/