ব্রুনেই সফর নিয়ে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ একটি রাজনীতিক দল, জনমানুষের দল।
‘আগে প্রতিবছরই সম্মেলন হতো। কিন্তু এখন তা সম্ভব হয় না কারণ খরচাপাতিসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। জাতীয় সম্মেলনের আগে দেশজুড়ে তৃণমূলে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সম্মেলন হবে। এরই মধ্যে আটটি টিম করে দিয়েছি- তারা কাজ শুরু করে দিয়েছে। ’
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকেও ডিজিটালাইজড করতে কাজ করছি। এরই মধ্যে টিমও তৈরি করে দিয়েছি। দলের সবই ডিজিটাইলজড করে দেয়া হচ্ছে। এই কাজটি হলে সবই একজাগায় বসে এক ক্লিকেই জানা সম্ভব হবে।
রাজনীতি থেকে অবসর নেয়া প্রসঙ্গে চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অবসর তো নিতেই হবে। এরপরে দলের নেতৃত্বে কে আসবে কিংবা নেতা কে হবেন-সেটা বেছে নেবে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগ।
দেশের উন্নয়ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ক্ষমতায় এলে যে দেশের উন্নয়ন করা যায় সেটি আওয়ামী লীগ করে দেখিয়েছে। বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে এসেছি। এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে নেয়।
সন্ত্রাসবাদ দমন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। অনেক উন্নত ও শান্তিপূর্ণ দেশেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। এর সঙ্গে অনেক শিক্ষিত ছেলেরা জড়িত। এর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।
** জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত-কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
তিনি বলেন, আমরা (বাংলাদেশ) শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আছি। এটাই যেনো বজায় থাকে। সেজন্য সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে মানুষের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকারের কোনো চাপ নেই বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ব্রুনেই সফর নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এসেকে/এমইউএম/এমএ