ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সর্বশেষ অবস্থা ও প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার (০৩ মে) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল, তথ্যসচিব আব্দুল মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও কাছাকাছি উপকূলীয় অঞ্চলকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে ‘ফণী’র অগ্রভাগ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মূলকেন্দ্র আসতে কিছুটা দেরি হবে। খুলনা অঞ্চলের আকাশ মেঘলা হওয়া শুরু হয়েছে। এর মেঘ ঢাকা পর্যন্ত এসে গেছে। ঢাকায় ‘ফণী’র মেঘ থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে’।
তিনি বলেন, আমাদের ধারণা ছিল সন্ধ্যা নাগাদ এটি বাংলাদেশে আসবে। এটি একটি বিশাল বডি। এটি সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাতব্যাপী অতিক্রম করতে থাকবে। পুরো ব্যাস বাংলাদেশের পুরো আকাশ ছেয়ে ফেলবে মধ্য রাত থেকে শনিবার (০৪ মে) সকাল পর্যন্ত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সকাল ১০টায় ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করেছে। অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। এটি এখন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছে। বিপদ সংকেত থাকা উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে আমরা অতিদ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করছি। আবহাওয়া অধিদফতর ও সরকারের পক্ষ থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ করতে বলা হবে এর আগে কেউ যেন আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ না করেন।
তিনি আরো বলেন, এটি এখনও দুর্বল হয়নি। আমাদের ধারণা ছিল এটি আঘাত করে দুর্বল হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এটি দুর্বল হয়নি।
পরিচালক আরো বলেন, ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের জন্য বাতাসের গতি ৮০ থেকে প্রায় ১৪০ হয়ে থাকে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে আগে আমরা সবাইকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করিয়েছি।
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস