শনিবার (০৪ মে) রাত ৩টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। মো. হাবিব কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খেজুরা গ্রামের হারুন মুসুলির ছেলে।
নিহত হাবিব শুক্রবার (০৩ মে) দুপুরে ঝড়ের সময় মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় তার গায়ের ওপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আহম্মদ বাংলানিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র প্রভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং অরক্ষিত বাঁধ ও ভাঙন এলাকায় গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
রাতে প্রবল বাতাসের বেগে ঝড়ো হাওয়ায় জেলায় কিছু কিছু এলাকায় বিদুৎ বিচ্ছিন্ন আছে। জেলায় এখন পর্যন্ত (৭) নম্বর বিপদ সংকেত ও অতিরিক্ত ২ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধির সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জেলার সাগর ও নদীগুলো উত্তাল রয়েছে। সকালেও স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। লেবুখালী ফেরিও থেমে থেমে চলছে।
তবে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, তাদের স্ব-স্ব উপজেলায় বিকেলে সভা করার পরে প্রাথমিক তথ্য জানানো হবে।
ঘূর্ণিঝড় কার্যক্রমের সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হেমায়ত উদ্দিন বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় ক্ষতি নিরূপণে তথ্য চেয়েছি। বিকেলে জানাতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা বিপদসীমার আওতায়, তাই ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
জেলার সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে এখনও লোকজন আশ্রয় নিচ্ছে, আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। তাদের খাবার ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে ভলান্টিয়াররা আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখছেন, আমাদের তথ্য দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
আরএ