আর রাজশাহী থেকে বিভিন্ন রুটের আন্তঃনগর ট্রেনও ছেড়ে গেছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে। এতে যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
রাজশাহী হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শনিবার দুপুর ১২টায় রাজশাহী থেকে নভোএয়ারের একটি প্লেন ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। তবে এই প্লেনটি রাজশাহী ছেড়েছে দুপুর পৌনে ২টায়। ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসতে দেরি হওয়ায় ফিরতেও দেরি হয়েছে।
এদিকে আগের দিন শুক্রবার (০৩ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রাজশাহী-ঢাকা রুটের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এদিন বিমানের ঢাকা-রাজশাহী ও রাজশাহী-ঢাকা রুটে দুটি ফ্লাইট ছিল। এ দিন ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারেরও ফ্লাইট ছিল।
তবে আবহাওয়া খারাপের কারণে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটিও ছেড়েছে দেরিতে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই প্লেনটি ঢাকা থেকে নির্ধারিত সময়ে রাজশাহী আসতে পারেনি। তাই সেটি নির্ধারিত সময়ে রাজশাহীও ছেড়ে যেতে পারেনি।
এছাড়া ‘ফণী’র প্রভাবে শনিবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন পদ্মা এক্সপ্রেস রাজশাহী পৌঁছেছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে। ফলে ওই ট্রেনটিই সিল্কসিটি এক্সপ্রেস নামে সকাল ৭টা ৪০মিনিটের পরিবর্তে ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী ছাড়ে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা দেরিতে। ফলে দুর্ভোগে পড়েন ওই ট্রেনের যাত্রীরা।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিনটেনডেন্ট আমজাদ হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেরিতে রাজশাহীতে এসে পৌঁছায়। পরে একটি কোচে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। সেটি মেরামত করতে সময় লাগে। ফলে নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি ট্রেনটি। আর এই ট্রেনের বিলম্বের কারণে অন্য ট্রেনগুলোর শিডিউলেও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
‘তবে রোববার (০৫ মে) সিল্কসিটি ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ রয়েছে। এতে ট্রেনের বিপর্যয় কেটে যাবে,’ বলে মনে করেন রেলের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এসএস/এমএ