পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
শনিবার (৪ মে) দুপুরের দিকে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলমের বাবার নতুন বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ঝুমুর এলাকার আব্দুল হানিফের মেয়ে। সে স্থানীয় সমরত বানু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো।
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে ভোর থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রবল বেগে বাতাস শুরু হলে বাগানে আম পড়ে। সকাল ৮টার দিকে মামাতো ভাই রাফি ও মামাতো বোন প্রমির সঙ্গে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাগানে আম কুড়াতে যায় ঝুমুর। আম কুড়ানো শেষে অপর দু'জন ফিরলেও ঝুমুর বাড়িতে ফিরেনি।
পরে পার্শ্ববর্তী সোনিয়া আক্তার নামে এক নারী বাগানের পাশের খালে ভেতরে মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেয়। এসময় পরিবারের লোকজন এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ ঝুমুরকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরীফ বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। ময়না-তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
জিপি