শনিবার (২৫ মে) দুপুর ১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
দুপুর ১টা ৩০মিনিটে নতুন এ আন্তঃনগর 'পঞ্চগড় এক্সপ্রেস' ট্রেন যাত্রাদিয়ে শুরু হয় বিরতিহীন পঞ্চগড় টু ঢাকা রেলপথে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পঞ্চগড়বাসীর বহুল প্রত্যাশিত 'পঞ্চগড় এক্সপ্রেস' ট্রেনটি হুইসেল বাজিয়ে ও সবুজ পতাকার সংকেত দেখিয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সেই সঙ্গে স্টেশনের নতুন নাম 'বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন পঞ্চগড়' ঘোষণা করেন। পঞ্চগড়ে এর নামফলক উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
এ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন পঞ্চগড় চত্বরে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করে রেলওয়ে বিভাগ।
এসময় ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জিএম খন্দকার শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
পরে রেলপথ মন্ত্রী নন-স্টপ (বিরতিহীন) ট্রেন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ করেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-পঞ্চগড় রেলপথে প্রথম বারের মতো দ্রুত গতির পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাঁচশ ৯৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে ১০ ঘণ্টায়। ট্রেনটি প্রতিদিন ১২টা ১৫ মিনিটে পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গিয়ে রাত ১০টা ৩৫মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। আবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে পঞ্চগড় পৌঁছাবে। যাত্রাপথে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পাবর্তীপুর ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে থামবে। ঢাকা থেকে আসার পথেও এসব স্টেশনে থামবে।
এ ট্রেনটিতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকলেও ভাড়া একতা ও দ্রুতযানের সমান রাখা হয়েছে।
শোভন চেয়ার ৫৫০ টাকা, এসি চেয়ার এক হাজার ৩৫ টাকা, এসি সিট এক হাজার ২৬০ টাকা এবং এসি বার্থ এক হাজার ৮৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রেনটির ৩০ শতাংশ আসন পঞ্চগড়ের জন্য, ৩০ শতাংশ দিনাজপুর, ২৫ শতাংশ ঠাকুরগাঁও এবং ১৫ শতাংশ পার্বতীপুরের জন্য নির্ধারিত। সব মিলে ১২টি কোচ নিয়ে প্রায় এক হাজার যাত্রী পরিবহন করবে ট্রেনটি। ট্রেনটিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন কোচগুলো যুক্ত করা হয়েছে।
স্বল্প বিরতির পঞ্চগড় এক্সপ্রেস উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতার আগ থেকেই পরিচিত হয়ে ওঠা পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনের নামটিও বদল করা হয়েছে। পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনের নাম ফলক মুছে নতুন নাম দেওয়া হয়েছে। স্টেশনটি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ৬ নং সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা ছিলেন।
**মেট্রোরেলে আরামদায়ক যাতায়াতে যানজটের কষ্টটা সহ্য করুণ
**ঈদ উপহার, উদ্বোধন হলো ২য় মেঘনা ও গোমতী সেতু
**চালকদের গতিসীমাসহ ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এসএইচ