যদিও প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ সফরে দেশের বাইরে যাচ্ছেন ২৮ মে, আর ফিরবেন ৮ জুন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও ই-নথির মাধ্যমেও মিলতে পারে ছুটির আদেশ।
এবার ঈদের ছুটির আগে ও পরে সাপ্তাহিক ছুটি, লাইলাতুল কদরের ছুটির মধ্যে রয়েছে একটি কর্মদিবস। ৩ জুনের এই কর্মদিবসে ছুটি হলে টানা ৯ দিনের ছুটি মিলবে।
শবে কদরের ছুটির আগে ৩১ মে ও ১ জুন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ২ জুন রোববার কদরের ছুটি।
২৯ রোজা ধরলে এবার ঈদ হবে ৫ জুন বুধবার। আর ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদ হবে ৬ জুন বৃহস্পতিবার। ঈদের ছুটি শুরু হবে ৪ জুন।
৫ জুন ঈদ হলে ছুটি থাকবে ৪, ৫ ও ৬ জুন অর্থাৎ মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতি। এরপর শুক্র ও শনিবার ৭ ও ৮ জুন দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি।
আর ৬ জুন ঈদ হলে ঈদের ছুটি একদিন বেড়ে ৭ জুন পর্যন্ত হবে। এক্ষেত্রে ঈদের ছুটি হবে ৪, ৫, ৬ ও ৭ জুন। অর্থাৎ, ৭ জুনের ঈদের ছুটি পড়বে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে।
ঈদের সময়ে সাপ্তাহিক ছুটি ও শবে কদরের ছুটির মধ্যে মাত্র এক দিন (৩ জুন) ছুটি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আলোচনা চলছে। ৩ জুন ছুটি ঘোষণা করার পক্ষেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে যাওয়ার আগে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকেরই। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের কাছেও জানতে চেয়েছেন সাংবাদিকেরা।
ছুটি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা আলোচনা হয়নি। আমার মনে হয় সামারির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে, যদি হয় (ছুটি) আরকি।
ছুটির সম্ভাবনা আছে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনো কোনো আলোচনা শুনিনি। মাঝখানে একটি দিন পড়ে যায়, ৩ তারিখ।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে একদিন ছুটি ঘোষণা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থাকবেন, এই সময়ে ছুটির ফাইল সই হবে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন বিদেশে থাকলেও কাজ করেন। এখন তো ইন্টারনেটের যুগ। ফাইল মেইলে চলে যায়, মেইলে চলে আসে। কোনো সমস্যা হয় না। ই-নথি (ইলেকট্রনিক নথি) করি আমরা।
প্রধানমন্ত্রী দেশে থাকবেন না- এই সময়ে কোনো নির্দেশনা আছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আমরা যার যার কাজ প্রত্যেকে চালিয়ে যাব।
এর আগে ২০১৬ সালে ঈদ-উল-ফিতরের সময় শবে কদর, সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ঈদুল ফিতরের ছুটি মিলিয়ে টানা ৯ দিনের ছুটির মধ্যে একদিন অফিস খোলা ছিল। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাঝখানের একদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
ওই সময়ে ১ থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ৪ জুলাই ছিল কর্মদিবস। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা ছুটির সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন ছুটি ঘোষণা করেন। তবে ৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে ১৬ জুলাই শনিবার অফিস করতে হয় সরকারি চাকরিজীবীদের।
***দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরো ৫ বছর
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ