ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চাপ নেই রেলস্টেশনে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৯
চাপ নেই রেলস্টেশনে

ঢাকা: গত কয়েক দিন ধরে রেলস্টেশনগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় থাকলেও ঈদ ঘনিয়ে আসায় কমছে যাত্রীদের ভিড়। এখন যারা বাড়ি ফিরছেন, তারা মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্যেই ফিরছেন।

রোববার (২ জুন) সকালে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। ফলে ট্রেনের ভেতরেও নেই কোনো ঠাসাঠাসি।

 

এবারের ঈদে একদিনের (৩ জুন) ছুটি নেওয়ায় অনেকেই পেয়েছেন টানা নয় দিনের লম্বা ছুটি। এ সুযোগে ৩০ মে থেকেই বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন অনেকেই। ফলে ঈদ ঘনিয়ে আসায় ভিড় কমেছে স্টেশনগুলোতে।

অন্যদিকে এবার এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেনের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রার দৃশ্যও চোখে পড়েনি। ফলে যাত্রীরাও কোনো ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পারছেন।

রংপুর এক্সপ্রেস ও ধুমকেতু এক্সপ্রেসসহ অনেক ট্রেনেই আসনের বাইরে দাঁড়িয়ে যাওয়ার দৃশ্যও তেমন দেখা যায়নি। অন্য বছরগুলোতে ট্রেনের ভেতরে তো দাঁড়ানোর ঠাঁই থাকতোই না, এমনকি ট্রেনের ছাদেও পা ফেলার সুযোগ থাকতো না। তবে এবার এখন পর্যন্ত সেই দৃশ্যের দেখা মেলেনি।  

রেলওয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ ঠেকাতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। তাই জিআরপি পুলিশ, আনসার ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ছাদে ভ্রমণ ঠেকাতে তৎপর রয়েছে।

এ স্টেশন থেকে রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত রংপুর এক্সপ্রেসসহ মোট ১৭টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। সর্বোচ্চ ঘণ্টাখানেক দেরি হচ্ছে একেক ট্রেনের। লালমনিরহাটের ঈদ স্পেশাল ট্রেন সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছার কথা থাকলেও সেটি প্রায় ৪৫ মিনিট দেরি করে ১০টা ২৫ মিনিটে পৌঁছে।  

রাজশাহীগামী ধুমকেতু ট্রেনটি সাড়ে ৪ ঘণ্টা দেরি করে সকাল সোয়া ১০টায় বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে গেছে। এছাড়া চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস শনিবারের (০১ জুন) মতোই শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। ট্রেনটি সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছার কথা থাকলেও সাড়ে ১০টা বাজলেও সেটি চিলাহাটি থেকে ঢাকায় ফিরতে পারেনি। স্টেশনের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে দেখানো হচ্ছে, সেটি সকাল ১১টার পর কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে।  

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী আকিবুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এবার স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারছি। অন্য বছর যেখানে বিমানবন্দর স্টেশনেই পা ফেলার জায়গা থাকতো না, এবার সেদিকে ট্রেনের ভেতরেও দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন এমন যাত্রীর সংখ্যা কম।  

ধুমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, সময়মতো না ছাড়লেও বাড়ি ফিরতে পারছি, এটাই সবচেয়ে আনন্দের।  

বিমানবন্দর স্টেশনের কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, দু’টি ট্রেন ছাড়া বাকি সবকটিই প্রায় সময়মতো ছাড়ছে। আধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টার বেশি কোনো ট্রেন দেরি করছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৯
টিএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।