রোববার (০৯ জুন) দিনগত রাতে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের চরউরিয়া গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী চরউরিয়া গ্রামের শরবতের নেছার বাড়ির নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
ওই নারী বাংলানিউজকে জানান, তিনি রাজধানীর গুলশানে একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের কার্যালয়ে কাজ করেন। তার নিজ এলাকা চরউরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ, শফিকুল, ফয়েজ ও সেলিমসহ আরও কয়েকজন মিলে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা নেয়। পরে ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে আসলে তাদেরকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে। পরে তারা বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে।
এরপর রোববার রাতে তারা জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই নারীকে স্থানীয় আজিজুল হকের সুপারি বাগানের ভেতরের একটি টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা প্রথমে তাকে পানি পান করতে দেয়। পরে বিস্কুট খেতে দেয়। সেখানে পানি ও বিস্কুট খাওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে সেখানেই সিরাজ, শফিকুল, ফয়েজ, সেলিম, জয়নাল, লতিফ, আজিজুল হক, সামছুল হক, মিঠু ও দুলালসহ ১০ জন মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ভোররাতে জ্ঞান ফিরলে নিজেকে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে দ্রুত তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন।
সোমবার (১০ জুন) সকালে সুধারাম থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান ওই নারী। পরে সুধারাম থানা পুলিশ তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আবদুল বাংলানিউজকে জানান, ওই গৃহবধূ অভিযোগ দেওয়ার পর তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষার পর বলা যাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এসএ/