রোববার (১৬ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
সোনাগাজীতে পুড়িয়ে হত্যা করা মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত এক মামলার আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন। বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
এদিকে ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী সালমা সুলতানা জানান, আজ হাইকোর্টে তার আগাম জামিন আবেদন উপস্থাপন করা হয়েছিলো। আদালত আগামীকাল কজলিস্টে থাকবে বলে আদেশ দেন। এখন আপনারা তো জানেন তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। তাই আগামীকালতো আগাম জামিন আবেদন শুনানির সুযোগ নেই।
বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গাজী মো. মামুনুর রশিদ বলেন, দুপুর ১টার দিকে আইনজীবী একটি আগাম জামিন আবেদন সম্পূরক লিস্ট করে শুনানির জন্য আবেদন করেন। আদালত আগামীকাল আবেদন কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন।
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এর দিন দশেক আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানা জারির দুইদিন পর মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
পিএম/জেডএস