ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার তৃতীয় বছর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০১ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৯
গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার তৃতীয় বছর

ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের নৃশংস জঙ্গি হামলার তৃতীয় বছর। এ হামলা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস জঙ্গি হামলা ছিল।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারী জঙ্গিরা। ওই রাতেই তারা দেশি-বিদেশি মোট ২০ জনকে হত্যা করে।

নিহতদের মধ্যে জাপানের নাগরিক, আর্জেন্টিনার নাগরিক, ইতালির নাগরিক ও ভারতের নাগরিক ছিলো।

সেদিনই উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরের দিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়।

হামলাকারী জঙ্গিরা হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, মীর সামিহ মোবাশ্বের, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ।

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপত্র আমাক হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স।

এ ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলার পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ব্যবসায়ী শাহরিয়ার খানের ছেলে তাহমিদকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দুই দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে অবশ্য তাহমিদকে গুলশান মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশকে অসহযোগিতার মামলা দেয় পুলিশ। সেই মামলায় তাহমিদ ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে খালাস পান।

এছাড়া এ হামলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় গুলিতে নিহত হয় মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী, জাহিদুল ইসলাম, তানভীর কাদেরী, নুরুল ইসলাম মারজান, আবু রায়হান তারেক, সারোয়ার জাহান, আব্দুল্লাহ মোতালেব, ফরিদুল ইসলাম আকাশ, বাশারুজ্জামান চকলেট ও ছোট মিজান।

এদিকে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধী, রকিবুল হাসান রিগ্যান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিছুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু শুরু হয়েছে।

অভিযোগ গঠনের পর গত সাত মাসে এ মামলায় মোট ৬০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে এবং মামলাটি শিগগিরই নিষ্পত্তি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০১ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৯
এসএমএকে/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।