মঙ্গলবার (২জুলাই) বেলা ১১টা থেকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড ও আব্দুলাহপুর-মিরপুর সড়কের তুরাগের বেড়িবাঁধ মোড়ে প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করে।
এসময় টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের আশুলিয়া থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ও বেড়িবাঁধ থেকে আব্দুলাপুর সড়কের দুই কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সোমবার (০১ জুলাই) সকালে উত্তরা থেকে বিজিএমইএ এর একটি বাস উত্তরা হাউস বিল্ডিং এর সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বিজিএমইএ এর স্থায়ী ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় রাস্তায় একটি পিকআপ ভ্যান শিক্ষার্থী বহনকারী বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে বাসের লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে। পরে ছাত্ররা পিকআপ ভ্যানের চালকের কাছে থেকে জরিমানা আদায় করে।
এ ঘটনা পিকআপ চালক তাদের শ্রমিক ইউনিয়নে জানালে শ্রমিকরা কামারপাড়া এলাকায় একত্রিত হয়ে দা-বটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এছাড়া রাস্তায় ইউনিভার্সিটির চলন্ত বাসসহ ৩/৪টি বাস ভাঙচুর করে। এতে বাসে অবস্থানরত ৭-৮ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ কারণে শিক্ষার্থীরা আটটি দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ ইউনিভার্সিটিকে নিতে হবে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এমন আটটি দাবি নিয়ে তারা সড়কে অবস্থান করছে৷ দাবি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়কে অবস্থান করবে বলে জানায়।
এ বিষয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল মুক্তাকিম বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। খুব শিগগিরই বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে এবং সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৯
আরএ