পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (০৭ জুলাই) বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে, মঙ্গলবার (০২ জুলাই) একই আদালত তাদের পাঁচদিনের রিমান্ডে দিয়েছিলেন।
এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, রিফাত শরীফকে হত্যা মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় ও সন্দেহভাজন অভিযুক্ত রাফিউল ইসলাম রাব্বিকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর ০৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া শুক্রবার (০৫ জুলাই) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এ হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া ও তদন্তে বেরিয়ে আসা অভিযুক্ত মো. সাগর ও নাজমুল হাসান।
এদিকে, এ মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজী সাতদিনের এবং সন্দেহভাজন সাইমুন পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজ সড়কে স্ত্রীর সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার স্ত্রী চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি।
জানা যায়, রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে সাবেক স্ত্রী দাবি করতেন এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড। মঙ্গলবার (০২ জুলাই) ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয়ন নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৯
এনটি