ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এবার ট্রেনে শিশু ধর্ষণ, আটক ১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এবার ট্রেনে শিশু ধর্ষণ, আটক ১

ঢাকা: এবার রাজধানীতে চলন্ত ট্রেনে ১০ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রেনের যাত্রীরা ধর্ষণের অভিযোগে সম্রাট নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে উদ্ধার করে যাত্রীরা।

এ সময় যাত্রীরা অভিযুক্ত সম্রাটকে আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

পরে মধ্য রাতে ভুক্তভোগী শিশুসহ অভিযুক্ত সম্রাটকে হেফাজতে নেয় রেলওয়ে থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা আইভী আক্তার বাদী হয়ে রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুশো বণিক জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায়। মামলায় সম্রাট নামে এক যুবককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রেলওয়ে ঢাকা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ওমর ফারুক জানান, ভুক্তভোগী শিশুটির নানি মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার বিকেলে শিশুটি হাসপাতালের নিচে নামলে টোকাই সম্রাট ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাকে রিকশায় করে কমলাপুর রেলস্টেশনে নিয়ে যায়। এরপর তেজগাঁও ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে যমুনা এক্সেপ্রেস ট্রেনে ওঠে। তেজগাঁও স্টেশন পার হওয়ার পর ট্রেনের টয়লেটে আটকে ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে সম্রাট।

যাত্রীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই সময় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। চলাফেরা অস্বাভাবিক মনে হলে সম্রাটকে সন্দেহ করে আটক করা হয়। এরপর ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনে থামলে পুলিশ শিশুটিকে হেফাজতে নেয় এবং সম্রাটকে আটক করে।

শিশুটিকে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে ওই শিশুর কাছ থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে পরিবারকে খবর দেওয়া হলে মা থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা দায়ের করেন।

সময় ক্ষেপণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এএসপি ওমর ফারুক বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল না, বরং দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। গ্রেফতার ওই যুবককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্রাট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
পিএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।