হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মতিলাল সৈকত বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় কুশিয়ারা নদীর হবিগঞ্জ অংশে পানি বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। যা দ্রুত গতিতে বেড়ে চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনদিনের বৃষ্টিতে আজমিরীগঞ্জ-মার্কুলী রাস্তার বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। যে কারণে উপজেলার পিরিজপুর, হিলালপুর, গুচ্ছগ্রাম, বদলপুর, নোয়াগাঁও, পিটুয়ারকান্দি, পাহাড়পুরসহ প্রায় ৭৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তবে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খন্দকার বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধি পেলেও বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
এদিকে নবীগঞ্জ উপজেলার উপজেলার বনগাঁও, পারকুল, ঢালার পাড়, ব্রাহ্মণ গ্রাম, পাহাড়পুর, দীঘলবাক, কসবা, কুমারকাঁদা, ফাদুল্লা, রাধাপুর, দুর্গাপুর, জামারগাঁও, পূর্ববাজার কলোনি, চন্ডিপুর, বটপারা, বাউরকাপন, মোকামপারা, রাজনগরসহ আশপাশের আরও অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিবিয়ানা পাওয়ার প্ল্যান্ট ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
তবে প্ল্যান্টের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্ল্যান্ট হাইওয়ে থেকে অনেক উঁচুতে। তাই এখনও পর্যন্ত কোনও ধরণের বিপদের আশঙ্কা করছেন না তারা।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ-বিন হাসান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আশঙ্কা করছি কুশিয়ারা ডাইক ভেঙে যেতে পারে। তাই এটা মেরামত করা হচ্ছে। নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র চালু করার পর পানিবন্দি মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।
হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বাংলানিউজকে বলেন, জেলা এবং সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। নদ-নদীর পানি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। ২০০ টন চাল এবং ৯৭১ বান্ডিল টিন মজুদ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
জিপি