উপজেলা সদর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দক্ষিণে বিশাপাড়া নামে দুগ্ধ ভিলেজ গ্রামটি অবস্থিত।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামে ছোট-বড় মিলে ৬৫টি খামারি রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি গ্রামটিকে দুগ্ধ ভিলেজ ঘোষণা করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মাসুদুর রহমান প্রায় চার বছর আগে বসতবাড়িতে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী কেনেন। এখন তার ছয়টি গাভী রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা।
তিনি আক্ষেপ করে বাংলানিউজকে বলেন, দুধ বেচার জায়গা নেই। এখন খামার ছেড়ে দিতে মন চায়। দুধের বাজার একেবারেই কম। দুধ নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে গেলে ৩০-৩২ টাকায় প্রতিলিটার বিক্রি করতে হয়। তাই খামারে প্রতিদিন ৫০ লিটার উৎপাদিত দুধ একই গ্রামের ঘোষ উজ্জ্বল চন্দ্রের কাছে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করেন।
ঘোষ উজ্জ্বল বাংলানিউজকে জানান, তিনি দই, মিষ্টি তৈরি করে বাংলা হিলি বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। এতে প্রতিদিন ১০০ লিটার দুধের প্রয়োজন হয়। গ্রামেই খামার থাকায় তাকে দুধ কিনতে কোথাও যেতে হয় না। গ্রামের খামারিদের কাছ থেকেই তিনি দুধ কিনে থাকেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে যাতে খামারিরা গাভী লালন-পালন ও পরিচর্যা করতে পারেন, সে লক্ষ্যে ওই খামারিদের নিয়ে নিয়মিত উঠান বৈঠক করা হয়। এছাড়াও যখন কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তখন মেডিক্যাল টিম গঠন করে চিকিৎসা ও সেবা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
আরবি/এসএইচ