সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে মাত্র ১০টি ফেরি এ রুটে চলাচল করছে। এদিকে, ফেরি স্বল্পতার কারণে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া উভয়ঘাটেই বিপাকে পড়েছে পরিবহন চালকেরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-র কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে স্রোতের তীব্রতা বাড়ায় চ্যানেলমুখে পলি জমে নাব্যতা সংকট তৈরি হয়। এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। একদিকে চ্যানেলমুখে নাব্যতা সংকট অন্যদিকে চ্যানেল পার হয়ে মূল নদীতে ঢুকলে স্রোতের তীব্রতায় ফেরিগুলো দিক ঠিক রেখে এগোতে পারে না। এ কারণে ছোট-বড় মিলিয়ে নয়টি ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ১৯টি ফেরির মধ্যে মাত্র ১০টি ফেরি চলাচল করছে।
জানা যায়, কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের মাঝখানে একটি চর জেগে দুটি চ্যানেল তৈরি হয়েছে। এ কারণে পাশাপাশি দুটি ফেরি চলতে পারছে না। স্রোতের তীব্রতায় লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট অতিক্রম করতে গিয়ে ফেরিগুলো স্রোতের কবলে পড়ছে। ফলে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন ম্যানেজার একেএম শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে বেশ কিছুদিন ধরে নাব্যতা সংকট চলছে। এতে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ’কে জানালে তারা চ্যানেলের ওই পয়েন্টে নদী খননের জন্য ড্রেজার স্থাপন করে। কিন্তু ড্রেজারের পাইপগুলো নদীতে যেভাবে ভাসমান অবস্থায় স্থাপন করা হয়েছে, তাতে নৌপথ সরু হয়ে গেছে। এখান দিয়ে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পানি বাড়ার কারণে স্রোতের তীব্রতা যোগ হয়ে বৈরি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এতে করে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এনটি