মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকেল পর্যন্ত রক্ষাবাঁধটির অন্তত ৪০০ মিটার এবং নাটুয়ারপাড়া-খাসরাজবাড়ী সড়কের প্রায় ২৫০ মিটার ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া সদর উপজেলার রূপসার চর থেকে বালিয়াকান্দি পর্যন্ত রাস্তার একাংশ এবং চর পানাগাড়ি থেকে জজিরা যাবার একমাত্র রাস্তাটিও ধসে গেছে।
নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান চাঁন বাংলানিউজকে বলেন, যমুনার পানি অব্যাহত বাড়ছে। এতে পানির তীব্র স্রোত বেড়ে রোববার (১৪ জুলাই) থেকেই নাটুয়ারপাড়া-খাসরাজবাড়ী সড়কে ধস দেখা দেয়। মঙ্গলবার বাঁধটির প্রায় ২৫০ মিটার ধসে গিয়ে দু’টি অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অপরদিকে, নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাঁধটির প্রায় ৪০০ মিটার ধসে গেছে। এতে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ফুলজোড় গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
তিনি আরও বলেন, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উঁচু সড়ক ছাড়া সবকিছুই পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ সহায়তার জন্য পাঠানো হয়েছে চাহিদাপত্র। ত্রাণ এলেই বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাটুয়ারপাড়া-খাসরাজবাড়ী পাঁচ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। এছাড়াও দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নাটুয়ারপাড়া রক্ষাবাঁধ নির্মাণ করা হয়। দু’টি বাঁধেরই বেশ কিছু অংশ ধসে গেছে। ধসে যাওয়া স্থানে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এসআরএস