মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, বন্যায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ৬ হাজার ৪৫৬টি এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ৯৯৫টি।
এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে তিন হাজার ৮শ ৬৬ হেক্টর। বেড়িবাঁধ ভেঙেছে ১৫টি স্থানে। ভাঙনকবলিত বাঁধের দৈর্ঘ্য ২৪৫ কিলোমিটার এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ৬৮০ কিলোমিটার।
মীর মাহবুবুল রহমান বলেন, বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ছয়টি উপজেলায় ৫৭ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ হয়েছে। দুর্গতদের চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে ১৪০টি মেডিকেল টিম।
আক্রান্ত পরিবারগুলোর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছে জানিয়ে মীর মাহবুবুর বলেন, এরই মধ্যে বরাদ্দ ৬শ মেট্রিকটন চালের মধ্যে ২৪৬ মেট্রিকটন বিতরণ করা হয়েছে। সরকার থেকে বরাদ্দ আট লাখ টাকার মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে চার লাখ টাকা। পাশাপাশি তিন হাজার কার্টন শুকনা খাবার বরাদ্দ পেয়ে দুই হাজার কার্টন বিরতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে সিলেটে বিভিন্ন নদীর পানি কমছে। ফলে নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এরপরও ১৩টি উপজেলায় ১৯০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এনইউ/এএ