সূত্রমতে, জার্মানির বিশ্ববিখ্যাত রেলওয়ে ক্রেন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কিরো ওই চারটি ক্রেন সরবরাহ করে। এসব আমদানিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা।
ব্রডগেজ ক্রেনগুলো ইতোমধ্যে পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় সংযোজন করা হয়েছে। ওই ক্রেনের উত্তোলন ক্ষমতা বা লিফটিং ক্যাপাসিটি হচ্ছে ১২০ মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী রেলের লাইনচ্যুত ইঞ্জিনসহ রেলগাড়ি সহজে উদ্ধার করতে পারবে। একইভাবে মিটার গেজ ক্রেনের ক্ষমতা ৮০ মেট্রিক টন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৭ মে এসব ক্রেন সমুদ্রপথে জার্মানি থেকে চট্টগ্রামে আনা হয় এবং ১৯ মে তা খালাস করে পার্বতীপুর ও পাহাড়তলীতে পাঠানো হয়। এখন ক্রেনগুলো ওই এলাকার কারখানাগুলোতে সংযোজন, প্রক্রিয়াকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ (ডি-প্রসেসিং কমিশনিং) হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (প্রজেক্ট) হাসান মনসুর বাংলানিউজকে জানান, আমদানিকরা ক্রেনগুলো বিশ্বমানের। এসব দিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন উদ্ধারে অত্যন্ত আধুনিক ও কার্যকরী হবে। ইতোপূর্বেও কিরো জার্মানি থেকে একটি ব্রড গেজ ও একটি মিটারগেজ লাইনের ক্রেন আনা হয়েছিল। এসব রয়েছে ঈশ্বরদী ও আখাউড়া জংশনে।
তিনি আরও বলেন, আধুনিক এসব ক্রেন রেলওয়েতে যুক্ত হলে উদ্ধার কাজে গতি বাড়বে এবং আরও দ্রুত কাজ করা যাবে।
পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার প্রধান নির্বাহী (সিএক্স) মুহম্মদ কুদরত-ই খুদা বাংলানিউজকে জানান, ক্রেনগুলো রেলওয়েতে যুক্ত হলে বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্বে বহুগুণে বেড়ে যাবে। ক্রেনগুলো সংযোজন কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে রেল বহরে যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এসএইচ