মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাঁধে ধস শুরু হয়। ধীরে ধীরে ধসের পরিধি বাড়তে থাকে।
কাজীপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার জানান, যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষায় উপজেলার মেঘাই, নতুন মেঘাই, পাইকড়তলী, কুনকুনিয়া ও পলাশপুর গ্রামের দেড় হাজার পরিবারকে রক্ষায় নির্মিত রিং বাঁধটির মেঘাই আটাপাড়া অংশে রাত ১০টার পর থেকে ধস দেখা দেয়। দ্রুতই এ ধস বিস্তৃত হয়ে বাঁধটির প্রায় ৬০ মিটার এলাকা ভেঙে যায়। এতে প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ে ওই ৫টি গ্রাম মুহূর্তেই প্লাবিত হয়ে যায়। ইতোমধ্যে ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবারের শিশু-বৃদ্ধ, গৃহপালিত পশুসহ বিভিন্ন জানমাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
কাজীপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার (এসও) ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। তবে পানির প্রবল স্রোতের কারণে নৌকা নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে।
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে জানান, রাতে হঠাৎ করেই বাঁধটিতে ধস দেখা দেওয়ায় বাঁধের পাশের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দিদের জানমাল নিরাপদ সরিয়ে নিতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
আরবি/