এসব এলাকার ফসলি জমি ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২১ হাজার পরিবার।
এদিকে, যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় আরো বেড়ে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কে এম রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সকালে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৩ দশমিক ৭৭ মিটার রেকর্ড করা হয়। যা বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (ডেঞ্জার লেভেল ১৩ দশমিক ৩৫)। কাজীপুর পয়েন্টে রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ৫ মিটার যা বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরো দু’একদিন পানি বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, যমুনার পানি বাড়ার তীব্রতার কারণে চরাঞ্চল অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। দুপুর পর্যন্ত ৫টি উপজেলার ৯৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ২১ হাজার ৫৫২ পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যার্তদের বিতরণের জন্য ৪৯৪ টন চাল ও ৮ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে এগুলো বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
আরবি/