বুধবার (১৭ জুলাই) ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার জাদিমুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিজিবির দাবি, এ সময় তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
নিহত দুই মাদককারবারি হলেন, চাঁদপুর জেলার চরমুকুন্দী এলাকার রেজোয়ান সওদাগরের ছেলে আসমাউল সওদাগর (৩৫) ও যশোর জেলার বসুন্দিয়া (বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা) এলাকার জব্বার আলীর ছেলে জাবেদ মিয়া (৩৪)।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল খান বাংলানিউজকে জানান, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান নাফ নদী হয়ে সীমান্তের জাদিমুরা এলাকা দিয়ে উপজেলায় ঢুকবে, এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত থেকে সেখানে অবস্থান নেয়। বুধবার ভোরে কয়েকজন ব্যক্তিকে আসতে দেখে তাদের দাঁড়াতে বললে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে মাদককারবারিরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দু’জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এবং ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। এসময় বিজিবির টহল দলের নায়েক মো. রেজাউল করিম, সিপাহী মো. ইমরান হোসেন ও মো. মতিয়ার রহমান আহত হয়েছেন।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল খান আরও জানান, গুলিবিদ্ধ দু’জনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তাদের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
মরদেহ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এসবি/এএটি