বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে শহরের আর্মিপাড়া, বাস স্ট্যান্ড, মেম্বারপাড়া, শেরে বাংলা নগর, বালাঘাটা, এমডিএস, ওয়াপদা ব্রিজ, ইসলামপুর এলাকায় বন্যার পানি নেমে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজন।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুলাই থেকে টানা ১২ দিনের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলা সদরসহ লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এছাড়া, বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের বড় দুয়ারা এলাকায় প্রায় পাঁচ ফুট পানি উঠে গিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের সঙ্গে বান্দরবানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টানা আট দিন পর বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে ফের সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
পার্বত্য জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে খিচুড়ি, চিড়া, গুড়-মুড়ি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বন্যার্তদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বাংলানিউজকে বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিভিন্ন প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। আরও কিছুদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ও ঢালুতে ঝুঁকিতে বসবাস করা লোকজনদের সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সশয়: ১২০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
একে