বুধবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনে পঞ্চম কার্যঅধিবেশনে ভূমিমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের এ নির্দেশ ও পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রকৃত মালিকের টাকা পাওয়া ও দেওয়ার সময় বেশ সমস্যা হচ্ছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি। মামলা মামলার গতিতে চলবে। সাধারণ মানুষের যেন কোনো ভোগান্তি না হয়।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদের দাবি ছিল রেকর্ড রুম করার। প্রত্যেক উপজেলার এসিল্যান্ড অফিসে রেকর্ড রুম আছে। নকশা জটিলতার কারণে কিছু অফিসে নেই। আমরা সেখানে রেকর্ড রুম করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। রেকর্ড রুম হবে প্রতিটি উপজেলা ভূমি অফিসে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটালাইজেশনের আওতায় ফসলি জমি রক্ষায় ল্যান্ড জোনিংয়ের কাজ আমরা করছি। যেখানে সেখানে তিন ফসলি করায় জমির ক্ষতি হচ্ছে। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি পরিদর্শন জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রী।
কিছু কিছু আইন সংস্কারের কাজে আমরা হাত দিয়েছি। সেগুলো করতে গিয়ে আমরা যদি কর্মকর্তাদের বদলি করি সেটা নিয়ে জেলা প্রশাসকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান সাইফুজ্জমান চৌধুরী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারি ভূমি উদ্ধারে অনেক আগেই আমি জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছি। আজ আবার বলেছি, ভালো পারফরম্যান্সের জন্য রিওয়ার্ড দেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকরা ছাড়াও কার্যঅধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি সংস্কার আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭,২০১৯
এসই/জেডএস