বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বন্যার পানি নিকট ইতিহাসের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে বিপদসীমার ১৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরাম, দশানীসহ জেলায় সকল নদ-নদীর পানি বেড়েই চলছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি বিপদসীমার ১৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জামালপুর জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, জামালপুর সদর ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ৪৭ টি ইউনিয়ন এবং ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ পৌরসভা এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এসব এলাকার অন্তত ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে জেলার ৪ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে সহস্রাধিক পুকুরের মাছ। রোপা-আমনের বীজতলা, আউশ ধান, পাট ও সবজিসহ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
জামালপুরে ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেওয়ানগঞ্জ পৌরশহরে চলছে নৌকা।
অধিকাংশ বন্যার্তই নিজ বাড়ি-ঘর ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও উচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও অন্যান্য খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা একেবারে অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বানভাসীরা।
জামালপুরের জেলা ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
জামালপুর জংশন রেলস্টেশন মাস্টার মোঃ শাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বন্যার পানিতে দুরমুঠ, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ রেল লাইন ডুবে গেছে। এজন্য জামালপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী ট্রেনগুলো ইসলামপুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এমএমইউ