বুধবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের ৪র্থ দিনের সপ্তম অধিবেশন শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রথমে দেড় লাখ টন ধান কেনার কথা ছিল।
তিনি বলেন, বড় সমস্যা হলো গুদাম নেই, আর উৎপাদন খরচও বেশি। শ্রমিকের মজুরি ও চাষের খরচ বেশি, ফলে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। আমরা একটি পরিকল্পনা করেছি। আগামী বোরো মৌসুমে যাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই খরচ কমানোর জন্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করার চিন্তা করা হচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যত টাকা লাগে কৃষিযন্ত্র কেনার জন্য দেওয়া হবে। তাই দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য এরইমধ্যে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
চালের লাভ মিলারের কাছে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার বলেছি, আগামীবার থেকে মিলারকে যদি ৫০০ টন চাল দেই তাহলে তাদের ৫০০ টন ধানও কিনতে হবে। এই লিস্ট আমরা করে দেবো। আমরা আর্দ্রতা মাপার মিটার কিনে দেবো। সেটা ঠিক থাকলে মিলারের কাছ থেকে ধান নেবো। এজন্য ডিসিদের বলা হয়েছে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিতে। ডিসিদের অনুরোধ করেছি আগামীতে আমরা যেন বিপুল ধান প্রত্যক্ষ্যভাবে কিনতে পারি। সেজন্য আমরা একটি নীতিমালাও করবো। এটি মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আইনের মাধ্যমে এক্ষেত্রে অগ্রসর হতে চাইছি।
চাষিদের ক্যাটাগরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রান্তিক চাষি, মাঝারি চাষি ও বৃহৎ চাষি- এই তিন ক্যাটাগরি করা হবে। বৃহৎ চাষিদের একটু কম দিলাম, আবার মাঝারি ও প্রান্তিক চাষিদের একটু বেশি সুবিধা দিলাম। ডিসিদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। আগামী আমন ও বোরো মৌসুমে চাষিরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডিসিরা কোনো সমস্যার কথা বলেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বলেছেন সহায়তা করবে। ধানের বিষয়টি নিয়ে তারাও চিন্তিত, মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া তারা বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেছেন। আমরা সেগুলোর উত্তরও দিচ্ছি।
ধান ক্রয়ে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করেনি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, এবার আমরা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়েছি। আমরা ডিসি, ইউএনও এবং কৃষি অফিসারদের এমন নির্দেশ দিয়েছি যার ফলে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করেনি, করতে দেওয়া হয়নি। তারা ২০-৩০ টন দিতে চেয়েছে কিন্তু, কেউ এক থেকে দুই টনের বেশি ধান দিতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস