বুধবার (১৭ জুলাই) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় বিক্রমপুর, রস, ভাগ্যকূল, মধুমিতা, বস, মীনা, সালাম ডেইরি ও মুসলিম সুইটসের দোকান ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। দোকানগুলোতে চলছে সপ্তাহের অন্য দিনের মতোই বেচা-বিক্রি।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর আগে যেকোনো পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরপরই ক্রেতার ভিড় লেগে যেতো মিষ্টির দোকানে। সকাল ১১টার পরপরই চলতো টানা বেচা-বিক্রি। এসময়ে দোকানে অতিরিক্তি কর্মচারী রাখা হতো মিষ্টি বিক্রির জন্য। তবে এবার মোটেই বেচা-বিক্রি নেই দোকানগুলোতে। শান্তিনগর, বেইলি রোড, পল্টন এলাকায় বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনেক দোকানিকে গল্প করে সময় পার করতে দেখা যায়। ফলপ্রকাশের চার ঘণ্টার মাথায় একজন অভিভাবকে দেখা যায় মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি কিনতে। তার মতে, এখন আর মিষ্টি খাওয়ানোর প্রচলন নেই। এর পরিবর্তে ফল-মূল বা ভারি খাবার খাওয়ানো হয় মেহমানদের।
সালেহা নামের এ অভিভাবক মুসলিম সুইটসে এসেছেন মিষ্টি কিনতে। তার মেয়ে এবার রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এক সময় মিষ্টির প্রচলন ছিলো, তবে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় মিষ্টির পরিবর্তে এখন ফলেই ভরসা সবার। এখন নিকটজনরা মিষ্টি খেতে চান না, তারপরও একটু মিষ্টি কিনেছি। তবে মেহমানদের মিষ্টির পরিবর্তে ফল বা অন্য ভারি খাবার খাওয়ানোর ইচ্ছে আছে। ’
ভাগ্যকূল সুইটসের শান্তিনগর ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার সুজন ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ‘এর আগে যে কোনো পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা মানেই মিষ্টি খাওয়ানোর ধুম পড়তো। আমাদের দোকানগুলোতেও চলতো ভালো বিক্রি। মিষ্টি বিক্রির জন্য এসময়ে অতিরিক্ত কর্মচারী ভাড়া করা লাগতো। ’
মুসলিম সুইটসের সেলসম্যান জাকির হোসেন বলেন, ‘এসএসসি বা এইচএসসির রেজাল্টের পর বেচা-বিক্রির ধূম পড়ে যেতো। তবে গত দুই বছর ধরে এ দু’টি পরীক্ষায় মোটেও বেচা-কেনা থাকে না। গত এসএসসি পরীক্ষায়ও কোনো বেচা-কেনা হয়নি। যা হয়েছে সপ্তাহের অন্য দিনের মতো। আজ এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরও একই অবস্থা, কোনো বিক্রি নেই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
ইএআর/এইচএ/