বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মতিলাল সৈকত।
এদিকে, সরকারি হিসেবে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ৫২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বন্যাদুর্গত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষ চরম কষ্টে রয়েছে। সেখানে খাদ্য এবং পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেক লোকজন ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারিভাবে যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বাংলানিউজকে জানান, দুর্গত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ টান চাল সেখানে বরাদ্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামিম দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এনটি