রোববার (২১ জুলাই) সকালে উত্তরা ক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে এ র্যালি শুরু হয়।
উত্তরা ক্লাব এবং রোটারি ক্লাবের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত এ র্যালি উত্তরার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজউক কলেজে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
র্যালি শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যাই করি না কেন কিছুই কাজে আসবে না, যদি আমরা সচেতন না হই। সেজন্য সচেতনতার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ডেঙ্গু পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। তবে এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে। এরপরও যদি কারও জ্বর হয় সেটি ডেঙ্গু কিনা তা দ্রুত শনাক্তের জন্য আমরা হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে ‘ডেঙ্গু কিট’ দিচ্ছি।
এসময় মশার ওষুধ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, মশার ওষুধ একটি খুবই টেকনিক্যাল বিষয়। ইতোমধ্যে আমরা একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। সরকারি বেসরকারি ৮টি সংস্থার প্রতিনিধি আছে সেখানে। তারা দ্রুত আমাদের ওষুধ নির্ধারণ করে দেবেন।
সিটি করপোরেশনের মশক কর্মীরা ঠিকমত ওষুধ দিচ্ছে কিনা তা যাচাইয়ে নাগরিকদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মশক কর্মীরা ঠিকমতো ওষুধ দিচ্ছে না বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। এ জন্য কোন এলাকায় কবে কখন কোন মশক কর্মী ওষুধ দিবেন তা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছি। আপনারা ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখবেন এবং যদি তারা (কর্মীরা) ঠিকমতো ওষুধ দিচ্ছে না বলে মনে হয় তাহলে ফোন দেবেন। নাগরিকদের মধ্যে থেকে সাত জন প্রতিনিধি থাকবে প্রতি ওয়ার্ডে, ওষুধ দেওয়ার পর কর্মীদের অন্তত চার জন প্রতিনিধির স্বাক্ষর নিতে হবে।
এসময় সাংসদ সাহারা খাতুন বলেন, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। এটা সরকারের কাজেরই একটি অংশ। তবে শুধু সরকার না বরং মানুষেরও এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সচেতনতার অভাব আছে। সেখানে সচেতনতা গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে।
র্যালিতে উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইমরুল আনোয়ার লিটনও বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২১,২০১৯
এসএইচএস/এইচএডি