পাঁচটি ফেরির মধ্যে দু’টি সচল থাকলেও বাকি তিনটি স্রোতের মধ্যে চলাচল করায় বিকল হয়ে পড়েছে। ফেরিগুলো দ্রুত মেরামত করা না হলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোর দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
রোববার (২১ জুলাই) সকালে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটের হরিণাঘাটে গিয়ে দেখা গেছে টার্মিনাল ও আশপাশের সড়কে শত শত গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে গণপরিবহনগুলোর যাত্রীরা ট্রলার দিয়ে শরীয়তপুর ঘাটে গেলেও ট্রাকে থাকা কাঁচামালগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বাসের যাত্রী আবু সাঈদ বাংলানিউজকে বলেন, তিনি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা দিদার পরিবহন নামের বাসে শনিবার সন্ধ্যায় ঘাটে এসেছেন। কিন্তু ফেরি বন্ধ থাকায় যেতে পারছেন না।
একই পরিবহনের যাত্রী শাহাবুদ্দিন ও হাফেজ মো. তাফাজ্জল হোসেন বলেন, ১৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও নদীতে স্রোত থাকায় ফেরি ছাড়ছে না। নদীতে জোয়ার এলে একটি ফেরি ছাড়া হয়। তাতেও গুরুত্বপূর্ণ গাড়ির সিরিয়াল থাকে। বাধ্য হয়ে আমাদের এখন ট্রলারে করে নদী পার হতে হবে।
চট্টগ্রাম থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন চালক রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি একবার ফেরিতে উঠেছেন। কিন্তু ফেরি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আবার ঘাটে নামতে হয়েছে। তার ট্রাকে থাকা মাছগুলো নষ্ট হয়ে গন্ধ বের হচ্ছে।
আরেক ট্রাক চালক শাহজালাল বাংলানিউজকে বলেন, এই ফেরিঘাটে ৫টি ফেরি থাকলেও সবগুলোই অনেক পুরনো। চলাচলের অযোগ্য। যার কারণে আমাদের ভোগান্তি বাড়ছে। ১৬ জুলাই এই ঘাটে এসেছি এখনও পার হওয়ার অপেক্ষায় আছি। থাকা ও খাওয়া নিয়ে বহু চালক এবং পরিবহনের সঙ্গে থাকা শ্রমিকরা কষ্ট পাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসির হরিণা ফেরিঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) পারভেজ খান বাংলানিউজকে বলেন, নদীতে এই ধরনের স্রোত আরও ৭ থেকে ১০ দিন থাকবে। আমরা পরিবহনগুলো পার করার চেষ্টা করছি। বেশি স্রোতের মধ্যে ফেরি চালাতে গিয়ে তিনটি ফেরির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ঢাকা থেকে এসব যন্ত্রাংশ আনা হয়েছে। ফেরিগুলো ঠিক হলে জোয়ারের সময় চলাচল করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর তো কারো হাত নেই। অন্যান্য ফেরিঘাটেও স্রোতের কারণে একই অবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
আরএ