রোববার (২১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএর সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, ২০১৭ সালের ১৫ জুন কল্যাণ ট্রাস্ট ও ২০ জুন অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ কর্তনের জন্য দুইটি পৃথক গেজেট প্রকাশ করা হলে বিটিএর ব্যানারে সারাদেশে আন্দোলন শুরু হয়।
বিটিএর সভাপতি বলেন, শিক্ষক সংগঠনের কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা না করেই গত ১৫ এপ্রিল থেকে অতিরিক্ত চারসহ মোট ১০ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে। এতে শিক্ষক-কর্মচারীরা মর্মাহত। এ অবস্থায় আমরা অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ১০ শতাংশ কর্তনের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানাই। পাশাপাশি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, এ দাবি শুধু আমাদের না এ দাবি এখন সারাদেশের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। প্রজ্ঞাপন বাতিলের জন্য এসময় বেশ কিছু কর্মসূচির কথা বলা হয়। এসব কর্মসূচির পর সরকার তাদের দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির পালনের কথা জানায় বিটিএ।
এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ২৪ জুলাই সব জেলা সদর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী অনশন পালন, ২৮ জুলাই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ড ঘেরাও। এরপরও যদি ১০ শতাংশ কর্তন করা হয় তবে, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় বিটিএ। যদিও তাদের কঠোর কর্মসূচির কি বা কেমন হবে তা জানানো হয়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিটিএর সাধারণ সম্পাদক মো. কাউছার আলী শেখ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নুরুন্নাহার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
ইএআর/এএটি