রোববার (২১ জুলাই) রাতে জেলার রায়পুর উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।
বিকালে রেনুর মরদেহ বাড়িতে আনা হলে বৃদ্ধা মা ছবুরা খাতুনসহ স্বজনদের মাতম আর আহাজারিতে আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে উঠে।
রেনুরা এক ভাই ও পাঁচ বোন। সে সবার ছোট। পড়ালেখা শেষে তিনি ঢাকায় আড়ং ও ব্র্যাকে চাকুরি করেছিলেন। প্রাইভেটও পড়াতেন তিনি। পারিবারিক কলহের কারণে দুই বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তার।
বিচ্ছেদের পর ছেলে তাসফিক আল মাহি (১১) বাবার সঙ্গে থাকে। মেয়ে তাসলিমা তুবা (৪) থাকতো মায়ের কাছে। মা শিশু তুবাকে ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন, কিন্তু অবুঝ শিশু জানেনা মা কোথায়।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে বড় ভাই আলী আজগরের কাছে আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল রেনুর। আমেরিকা যাওয়া হল না তার। নির্মম মৃত্যুতে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
নিহতের ভগ্নিপতি বদিউজ্জামান বলেন, অভিভাবকরা সন্তান ভর্তি করার জন্য স্কুলে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে গুজব ছড়িয়ে একজন শিক্ষিত-সংগ্রামী নারীকে এভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করতে হবে। এ সভ্য সমাজে এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতার করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আগামীতে যাতে আর কোনও মানুষ এভাবে গুজবের বলি না হয়।
শনিবার (২০ জুলাই) সকালে ঢাকার উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাসলিমা বেগম রেনুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মেয়েকে ভর্তির জন্য ওই স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে মুহুর্তের মধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে পিটুনি দিলে তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময় : ১৪৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এসআর/ওএফবি