বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ আদেশ দেন।
আদালত যে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন তারা হলেন- রহিম ওরফে আরিফ, জিকু ও আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে টাইগার।
রজবের ভাই আনোয়ারের করা মামলার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৪ জুলাই রাত ৯টার সময় বাদী তার ভাবীর মাধ্যমে জানতে পারেন- কে বা কারা তার ছোট ভাই রজবকে (ভিকটিম) ছুরিকাঘাত করে মেরে ফেলেছে। খবর পেয়ে বাদী তার ভাগ্নে জীবনসহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে ভাইয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। উপস্থিত লোকজনের কাছে জানতে পারেন রুবেল এবং বাদীর ভাই রজব মোবাইলে টাকা রিচার্জের জন্য নবাবপুর রোডে আসার পর আসামি রুবেল, বাবু, সিদ্দিক ওরফে টাইগার, মন্টি, ঝিকু, চঞ্চল, শুককুর, সাইদুল, রাজকুমার, আমিরসহ আরও ৪/৫ জন বাদীর ভাইকে ঢাকা জজ কোর্টের পেছনে ১৬/এ কোর্ট হাউজ স্ট্রিটের পূর্বপাশে নিয়ে যায়। সেখানেই রজবের বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে আসামিরা। সেসময় রজব চিৎকার করলে লোকজন ছুটে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে নিকটস্থ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাদী তার অভিযোগ বলেন, একটি মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে আসামিদের সঙ্গে শত্রুতা তৈরি হয় রজবের। এর জেরে আসামিরা রজবকে হত্যা করে।
২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বি এম নাজমুল হুদা ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর এ রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
এমএআর/এইচএডি