শুক্রবার (২ আগষ্ট) বেলা পৌনে ১২টায় কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী সড়কের ঈশ্বরদী ইপিজেডের সামনে 'পাকশী হোটেল'র ৪০৪ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ঈশ্বরদীর পাকশীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প এলাকায় ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
নিহত তানভির ঢাকার পশ্চিম রামপুরা এলাকার ১৯ নম্বর বাড়ির মৃত রায়হানুল হকের ছেলে। তবে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ঘোড়ামারা সাগরপাড়াতে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
পাকশী ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম শহীদ বাংলানিউজকে বলেন, গত ২২ জুলাই রাতে তানভীর রায়হান পাকশী এসে ওই হোটেলটিতে ওঠেন। শুক্রবার হোটেলের বয় রুম পরিষ্কার করার জন্য ওই কক্ষে গেলে রুমটি ভেতর থেকে বন্ধ পান। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে সকালে সাড়ে ১০টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে খাটের এক পাশে বসা অবস্থায় তানভীরের মরদেহ দেখতে পায়।
নিহত ব্যবসায়ীর মামা, ওমর কবির পরিবারের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে হার্টের রক্তনালিতে ব্লক জনিত রোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তানভির।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, মৃত ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
আরএ