শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাজধানীর ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রচার: অবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ণ করুন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবির কথা জানান কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ধর্মীয় সহিংসতা সৃষ্টি করে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে।
বর্তমানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ও তাদের বাড়িঘর দখলের সঙ্গে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও তাদের জমিজমা, ঘরবাড়ি দখলে এক নম্বরে রয়েছে বিএনপি-জামায়াত, এ কাজ করেছে জাতীয় পার্টিও। পাশাপাশি সরকারদলীয় লোকজনও জড়িত বলে আমরা ইতোপূর্বে বিভিন্ন সেমিনারে বিষয়টি তুলে ধরেছি। ’
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘ইতোপূর্বে একটি অনলাইন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করা হয়। তখন আমি ও দৈনিক জনকন্ঠের সম্পাদক স্বদেশ রায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে পাইনি। আমি যদি প্রতিকার না পাই, তাহলে একজন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কিভাবে এর প্রতিকার পাবে? তাহলে ধরে নিতে হবে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হয়তো এর প্রতিকার করতে ব্যর্থ, না হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের পক্ষেই কাজ করছে। ’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
আরকেআর/এসএ