দীর্ঘ প্রায় ২০/২৫ দিন চরম দুর্ভোগের পর হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী মেডিক্যাল মোড়ে এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করা বাঁশের সাঁকোর ফলে যোগাযোগ কিছুটা সচল হয়েছে। সাঁকোর উপর দিয়ে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও হেঁটে পারাপার হচ্ছে মানুষ।
বিগত দুই দফা বন্যায় উপজেলার বড়খাতা হাতীবান্ধা বাইপাস সড়কের গড্ডিমারী মেডিক্যাল মোড় এলাকায় প্রায় ৫০ ফুট সড়ক ভেঙে যায়। এতে তিস্তার একটি নালা বের হয়ে লোকালয় হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়া লোকজন। সরকারিভাবে মেরামতের অপেক্ষায় থেকে দীর্ঘ দুর্ভোগের পর সোমবার এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কিছুটা হলেও যোগাযোগ সচল করেছেন। একই এলাকার তালেব মোড়ে বাঁধ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় পড়েছে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। বাঁধটি মেরামতে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবে)।
গড্ডিমারী মেডিক্যাল মোড় এলাকার আফসার, ইব্রাহীম ও আব্দুল করিম বাংলানিউজকে জানান, বন্যায় ডুবে থাকার সময় হঠাৎ পানির তোড়ে সড়কটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো ইউনিয়নের মানুষ। সরকারি লোকজন আসে আর যায়। কেউ মেরামত বা সেতু তৈরি করে না। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরা চরম বিপাকে পড়েন। তাই সরকারের তোয়াক্কা না করে এলাকায় বাঁশ সংগ্রহ করে ৫৫ ফিট সাঁকো তৈরি করেন এলাকাবাসী।
গড্ডিমারী ইউনিয়নের সাবেক সদস্য জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা স্রোতের ভেতর দিয়ে অনেক কষ্টে হেঁটে সড়কটি পারাপার হত। এতে অনেক শিক্ষার্থীর পোশাক, বই খাতা ভিজে যেত। তাই হেঁটে চলাচলের জন্য আপাতত এলাকাবাসীকে নিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সাঁকো দিয়ে রিকশাসহ জরুরি সেবার অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাতায়াত সম্ভব নয়। এজন্য দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানান তিনি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বাংলানিউজকে জানান, দুই দিন আগে ভেঙে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করে স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগকে মেরামত করে যোগাযোগ সচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পানির স্রোত কমে গেলে সড়ক যোগাযোগ সচল করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘন্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
আরএ