খুলনায় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে খুলনা গুণীজন স্মৃতি পরিষদ ও আর্চায্য প্রফুল্ল চন্দ্র ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে বিএমএ মিলনায়তনে পি.সি. রায়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে প্রথমে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, নিজের অর্থে ও বন্ধুদের উদ্বুদ্ধ করে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, মানুষকে ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন; দুর্গত মানুষদের সহায়তা করার জন্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন, ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছেন; ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিয়ে সমবায় সমিতি ও সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুঁজি গঠনের পথ দেখিয়েছেন। মানবিক এই আদর্শ মানুষটিকে তাঁর সকল উপার্জন শিক্ষা বিস্তারে ব্যয় করেছেন।
‘নিজে পরেছেন অতি সাধারণ পোশাক, খাবারও ছিল সামান্য, থেকেছেন তার প্রিয় ছাত্রদের মাঝে, মারাও গেছেন প্রিয় ছাত্রের হাতে মাথা রেখে। তার জীবনাদর্শ ধারণ ও চর্চা করতে হবে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে হবে। ’
বিএমএ সভাপতি ডা. বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সমন্বয়কারী সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেনের পরিচালনায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আলোচনা করেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর সুশান্ত কুমার সরকার, বিএমএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ারুল আজাদ, দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী ও নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শিলু, কৃষিবিদ পঙ্কজ কান্তি পাল, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তৃতা করেন।
এসময় বক্তারা পি সি রায়ের আবিষ্কার, গবেষণা ও বিভিন্ন কর্ম এবং তার জীবনী নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তার পৈত্রিক ভিটা দখলমুক্ত করে একটি গবেষণাগার ও পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
এমআরএম/এএ