ঢাকা, বুধবার, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

আলোর মিছিল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৯
আলোর মিছিল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা আলোর মিছিল করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা/ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: প্রজ্জ্বলিত মশাল হাতে নিয়ে আলোর মিছিল করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা। দেশকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় নিয়ে ২০১১ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রতিবছরের মত এবারও আয়োজিত হয় এই মিছিল।

শুক্রবার (০২ আগস্ট) সন্ধ্যায় আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলটি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়।  

এদিন সন্ধ্যায় সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মিছিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা এই দেশকে কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের হতে যেতে দিতে পারি না। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসের চেষ্টা করছে। ৭৫’র পর ২১ বছর এই চেষ্টা চলেছে। কিন্তু প্রতিবারই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা তা প্রতিহত করেছে।  

তিনি আরও বলেন, আজ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের হাতে আলো জ্বলবে। এর মাধ্যমে দেশ থেকে অন্যায়, অবিচার, অনাচার, সাম্প্রদায়িকতা দূর হবে। তৈরি হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।

মিছিলের আগে আয়োজিত পথসভায় সভাপতিত্ব করেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘রাজাকারকে দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিতে হয় না। সে সবসময় রাজাকার। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাকে জীবনের প্রতিটি বাঁকে দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিতে হয়। রাজাকার প্রথা চালুর মূল নায়ক জিয়া। রাজাকারেরা যে পথ দিয়ে ট্যাংক নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জাতিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে, সেই পথে আলো জ্বালিয়ে আমরা জাতিকে আলোকিত করতে চাই। সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশে এখনো ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু এই ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে আলোর দিকে নিয়ে যেতে হবে’।  

এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন বলেন, ২০১১ সালে প্রথমবারের মত আমরা এ ধরনের মশাল মিছিলের আয়োজন করি। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছরই আমরা এই মিছিল আয়োজন করে আসছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করার যে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল আমরা প্রতিবার শপথ নেই সেই চক্রান্ত নস্যাৎ করার।

পথসভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের প্রেসিডিয়াম সদস্য জোবায়দা হক অজন্তা, কোষাধ্যক্ষ আহমেদ রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মৃদুলসহ অন্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।