শনিবার (০৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক ড. কবিরুল বাশার।
বর্তমান ডেঙ্গুর পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এখন ডেঙ্গু আনকন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণের বাইরে) অবস্থায় চলে গেছে।
তিনি বলেন, এবার ফেব্রুয়ারিতে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৯৫৩ সালের পর আর এরকম হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এরকম হয়েছে। ডেঙ্গু মশার ডিম ছয় মাস পর্যন্ত জীবিত থাকে। অক্টোবরে পাড়া ডেঙ্গুর ডিম ফেব্রুয়ারিতে বৃষ্টি হওয়ায় বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। এ কারণে ডেঙ্গুর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে বৃষ্টি না হয়ে যদি জুনে হতো তাহলে এরকম পরিস্থিতি হতো না।
প্রাণিবিদ্যার এ অধ্যাপকের মতে, এখন এক নেতার ডাকে দেশের সব মানুষকে সাড়া দিতে হবে। সাড়া দিয়ে সবাই তার আশেপাশে থাকা ডেঙ্গুর প্রজননস্থল ধ্বংস করলেই কেবল এর থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব। এজন্য চারটি অস্ত্র পরিশেগত ব্যবস্থাপনা, বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল, কেমিক্যাল- কীটনাশক বা ওষুধ এবং কমিউনিটি ইনভলবমেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
সামাজিক সংগঠন সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদারের সভাপতিত্বে কোরবানির বর্জ্য ও ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ড. রুহুল আমিন চৌধুরী, মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
বক্তব্যে বাপ্পি সরদার বলেন, ঈদুল আজহার কোরবানির বর্জ্যের ফলে মশা-মাছির প্রার্দুভাব আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। এতে করে ডেঙ্গু রোগের পাশাপাশি মশাজনিত অন্যান্য রোগের প্রকোপ বাড়বে। তাই দেশের সব সিটি মেয়রসহ সারাদেশের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আজ থেকে কাজ করার আহ্বান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
ইএস/জেডএস