রোববার (৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য মতে-গত ১৫ দিনে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১১ জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩২ জন, প্রাইম হসপিটালে ৩ জন, আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২২ জন ও সাভারের সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়াও সাভারের অন্যান্য বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মিলিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই শতাধিক ছাড়িয়ে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটস সংকট দেখা দিয়েছে। গত দুই দিন ধরে এই হাসপাতলটিতে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের মজুদ করে রাখা কিটস ছিল ৬০০টি। গত সপ্তাহের মধ্যেই তা শেষে হয়েছে।
এ বিষয়ে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার হারুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে বিষয়টি জানিয়েছি। এরই মধ্যে দেশের বাইরে থেকে চাহিদা মত কিট পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।
ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, আগ থেকেই আমাদের সচেতন হওয়া উচিৎ ছিল। তবে দেরিতে হলেও মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত হওয়ায় ইতোমধ্যে আমরা ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদাপত্র দিয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার সেবা চালু করা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, শরীরে জ্বর হলেই মানুষ ডেঙ্গু ভেবে হাসপাতালে ছুটে আসছেন। তাই কিটস সংকট দেখা দিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কিটসগুলো হাসপাতালে চলে আসবে। আশাকরি দুই একদিনের মধ্যে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে।
তবে সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই এই ডেঙ্গু পরীক্ষার সেবা চালু করা সম্ভব হবে কিনা সেটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
আরএ